ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন ১৯ জনের মৃত্যু মহালছড়িতে ভাইয়ের বিরুদ্ধে সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগ শ্রীপুরে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে থানার এএসআই ক্লোজড সাঘাটার ভূমিদস্যু সুইট ও সহযোগীদের শাস্তির দাবি ফুলবাড়ীতে প্রতিপক্ষের গাড়ি ভাঙচুর ও মারপিট ৩১ শয্যার হাসপাতালে ২২ পদ শূন্য, ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেননি ডিসি আসামি ছিনিয়ে নিল জনতা আসামি ছিনিয়ে নিল জনতা আসামি ছিনিয়ে নিল জনতা বান্দরবানে হত্যা মামলা তুলে নিতে হুমকি আমতলীতে ৫০ শয্যা হাসপাতালে ২২জন স্টাফদের মধ্যে১৬ জনের শুন্যপদ থাকায় চিকিৎসাসেবা ঝুঁকে পরছে হেরা ফেরি ৩-তে ফিরছেন টাবু বাশার-তিশার নতুন রোমান্সের গল্প ‘বসন্ত বৌরি’ ওজন কমাতে সার্জারি, প্রাণ গেল মেক্সিকান ইনফ্লুয়েন্সারের ‘স্কুইড গেম’ অভিনেত্রী লি জু-শিল আর নেই বিচ্ছেদের পর ফের নতুন প্রেম খুঁজছেন মালাইকা অরোরা? দেশের প্রেক্ষাগৃহে ‘বলী’ আসছে ৭ ফেব্রুয়ারি হামলার পর প্রথমবার জনসমক্ষে সাইফ আলী খান অবশেষে প্রকাশ্যে এলো চিত্রনায়িকা পপির স্বামী-সন্তানসহ ছবি

বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিলো গোপালগঞ্জের নাইম 

  • আপলোড সময় : ২৯-০২-২০২৪ ০৯:৪৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৯-০২-২০২৪ ০৯:৪৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিলো গোপালগঞ্জের নাইম  পরীক্ষা দিলো
বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখে ধর্ম পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার নাইম হোসেন হৃদয়। নাইম এ বছর মুকসুদপুর উপজেলার হাদিউজ্জামান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। পরীক্ষা শেষে নাইম হোসেন হৃদয় বলেন, বাবার ইচ্ছা ছিল আমি বড় হয়ে বিসিএস ক্যাডার হবে। কিন্তু বাবা দেখে যেতে পারলেন না আমার ভবিষ্যৎ। তার আগেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন। 
গত মঙ্গলবার সরকারি মুকসুদপুর কলেজ কেন্দ্রে ধর্ম পরীক্ষা দেয় ওই শিক্ষার্থী। 
মুকসুদপুর কলেজ কেন্দ্র সচিব অচিন্ত কুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নাইম হোসেন হৃদয় মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর গ্রামের মনিরুজ্জামান মোল্যার ছেলে। নাইম হোসেন হৃদয় বলেন, আমার বাবা মনিরুজ্জামান মোল্যা গত সোমবার রাতে স্ট্রোক করে ইন্তেকাল করেন। কিন্তু আজ আমার ধর্ম পরীক্ষা ছিল। আমার বাবার মরদেহ দাফন করা হবে আজ। আমি আমার বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য বাড়িতে বাবার মরদেহ রেখে পরীক্ষা দিতে এসেছি। পরীক্ষা দিলাম, এখন বাড়িতে গিয়ে বাবার মরদেহ দাফন করবো। এ শিক্ষার্থীর চাচা বাবুল মোল্যা জানান, আমার ভাই মনিরুজ্জামান গত রাতে স্ট্রোক করে মারা যান। ভাতিজার আজ পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষ হয়েছে, এখন আমার বড় ভাইয়ের মরদেহ দাফন করা হবে। 
কেন্দ্র সচিব অচিন্ত কুমার বিশ্বাস জানান, নাইম হোসেনের বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা তাকে আলাদা পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। সে জানিয়েছিল সবার সাথে বসেই পরীক্ষা দেবে। পরীক্ষার সময় সে স্বাভাবিক ছিল। তার পরীক্ষার জন্য সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুকসুদপুর থানার এএসআই শফিকুল ইসলাম জানান, নাইম হোসেন হৃদয় মোল্যার পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে দেয়ার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। সে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা দিয়েছে।  
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স